রহস্যময়ি রাত্রি.




আগে থেকেই বলে রাখা ভালো যে....আমার একটা ইলেকট্রিক এর দোকান আছে.. 
দোকান এর কাজ করতে করতে সময় এর কথা ভুলেই গেছিলাম..
তখন ফোনটা হাতে নিতেই আৎকে উঠি..
রাত্রি তখন ১২ টা বাজে
আর এদিকে... গুড্ডু ..(আমার স্ত্রি)৬৯ বার কল দিয়েছে
ফোন silent করা ছিলো তাই বুঝতে পারিনি...
আমার তখনি মনে পড়লো যে আজ গুড্ডু বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেছে..
আমিও কথা দিয়েছিলাম আজ সন্ধ্যাই চলে যাবো.
এসব ভাবতে ভাবতে আমার ফোন আর একবার বেজে উঠলো বুঝতে বাকি রইলো না কে ফোন দিয়েছে..
তাই তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করলাম..
বললাম I Love u guddu.. 
আর তাতেই তার রাগ মাটি হয়ে যায়..
সে মিস্টি করে বলে তুমি কথায় আছো
আমিও মিস্টি করে বলি দোকানে আছি গুড্ডু
তা কখন আসবা??
আমিও বলি এইতো এখনি..
ওকে দেখেশুনে আসো.....
আমিও বলি আচ্ছা by..
না চাইতেও রওনা হলাম.. পীরগাছা দিকে পৌছাতে পৌছাতে রাত্রি তখন 1:30পার গাড়ি থেকে নেমেই ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম কোথাও কনো লোক নেই চারপাশ কেমন জানি নীরবতা ছায়া নেমে এসেছে  কেন জানি না মনের ভিতর ক্রমশ ভয় চেপে আসল.... গায়ে কাটা দিয়ে উটছে!!
মস্তিষ্ক বলছে ফিরে যেতে কিন্তু মন তো অন্ন কিছুই বলছে ..... আর কিছু না ভেবে সাহস নিয়ে সামনের দিকে হাটতে শুরু করলাম.
প্রথমে ভাবলাম রাস্তা দিয়ে যাবো.. কিন্ত ডাকাত এর ভয় এর কারনে রাস্তা দিয়ে না গিয়ে গ্রাম এর ভিতর দিয়ে হাটা শুরু করলাম..
তখনো বুঝতে পারিনি সামনে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে..
পুরো রাস্তায় আমার পায়ের শব্দ ছাড়া কিছুই যেনো আমি শুনতে পাচ্ছিনা..
হঠাৎ দেখতে পেলাম..যে আগুনের ফুল্কি শুন্যের অপর ভাসছে..আমি দেখা মাত্রই আমার পা যেন...পাথরের মত ভারি হয়ে যায়..
আমি যেন আর নড়তেই পারছিনা ওখান থেকে..ভাবলাম আজকেই আমার জিবনের শেষ রাত মনে মনে কালিমা পরতে থাকলাম..আর দেখতে থাকলাম অই আগুনের ফুল্কিটা আমার দিকে এগিয়ে আসছে..যত কাছে আসছে ততই আমার ভয় বাড়ছে
কিন্তু কাছে আসতেই আমি অবাক হয়ে গেলাম..
একি এতো আমাদের গ্রাম এর সেই পাগল রাতে সিগারেট হাতে নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে আর দূর থেকে আগুনের ফুল্কির মতো দেখাচ্ছিলো
আমি নিজেই নিজের ওপর উপহাস করে
হাসতে লাগলাম..
তার পর আবার হাটা শুরু করলাম
পিছন থেকে বলতে থাকে
তুই মরবি আজ..তুই মরবি
আমি তার কথায় কান না দিয়ে হাটতে থাকি
হঠাৎ আমার সামনে কিছু একটা দেখতে পেলাম অন্ধকারে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না..
ভালো করে চেয়ে দেখলাম..যে আমার সামনে ৩ জন বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে..
তারা আমাকে প্রশ্ন করে উঠলো.তুমি কি ইনসান এর ছেলে..???
নাকি??
কথাটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো..
কারন ইনসান বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছে..
আমার ভিতর টা যেন শুকিয়ে আসছিলো
তখনি ওরা আবার বলতে শুরু করলো
....
তারা আমাকে প্রশ্ন করে উঠলো.তুমি কি ইনসান এর ছেলে..???
নাকি??
কথাটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো..
কারন ইনসান বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছে..
আমার ভিতর টা যেন শুকিয়ে আসছিলো
তখনি..
ওরা আবার বলতে শুরু করলো..
তুমি কি.. ইনসান এর ছেলে
আমি কিছুই বলছিলাম না..
আমার.. মন.. মস্তিষ্ক শরিরের সব অংশ যেন ছুটে পালিয়ে যেতে চাইছিলো..
কিন্তু মনে হচ্ছিলো কে জানি আমাকে পুরোপুরি অবশ করে দিয়েছে..
আমি অনেক চেষ্টা করলাম.. কিন্তু কিছুতেই কনো লাভ হলনা..
বুঝতে পারলাম এটাই আমার জিবনের শেষ মুহুর্ত..
আমি চিৎকার করে কালিমা পরতে থাকি..
সেই বৃদ্ধ লোকগুলা আমার সাথে.. কালিমা পরতে থাকে..
আমি তাদের মুখে.. কালিমা. শুনে অনেকটা অবাক হই
আমার মনে হচ্ছিলো শতশত লোক একসাথে কালিমা পরছে..
আমার ভিতর ভয় অনেক কমতে থাকে.. এই টুকু বুঝতে পারি আর যাই করুক..
এরা আমার কনো ক্ষতি করবে না..
আমি তাদেরকে সালাম দিয়ে রওনা হচ্ছিলাম..
ঠিক এমন সময় ওদের একজন বলে উঠলো..তুই
নিজেই নিজের মৃত্যু ডেকে আনলি..
এ কথা শোনা মাত্রই ভয়ে আমার শরিরের লোম দারিয়ে গেলো..
আমি পিছন ঘুরিয়ে তাদেরকে জিগ্যাসা করতে চাইলাম..কার মৃত্যু??
কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে দেখি কেউ নেই..
আমার মাথা আর কাজ করছে না. কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না..
শুধু মস্তিক এটুকুই বলছে দৌর দে 
.Amin..বাচতে চাইলে পালা Amin.. পালা..
আমিও ছুটতে থাকি ঘোড়ার মতো..
কিন্তু বেশিদুর যেতে পারি না. তার আগেই থমকে যাই..
সামনে দিকে তাকিয়ে দেখি রাস্তার মাঝখানে..একটা বিশাল বড় কুকুর. ২ পায়ে ভড় করে হাটাহাটি করছে.. 
আমাকে দেখে তার চোখ জলে উঠলো আগুনের ফুল্কির মতো..আমাকে দেখা মাত্রই তার জিবটা বের করে ছুটে আসতাছে আমার দিকে...আমার থেকে একটু দূরে আর একটু হলেই আমাকে ধরে..আমার শরির থেকে মাথাটা আলাদা করে দিবে
কিন্তু একি কাছে আসা মাত্রই সে বাতাসে মিলিয়ে গেলো
আমি এদিক অদিক তাকালাম কিন্তু কথাও কিচ্ছু দেখতে পেলাম না..
হঠাৎ নিজের কাধে একটা তরল কিছু অনুভব করলাম..কাধে তাকাতেই আমার চোখ যেন কপালে ঠেকে যায়..
এতো তাজা রক্ত আর আমার কাধে কেনো??
কিছুই ভাবতে পারছি না.মাথা ঘুরতে থাকে মনে হচ্ছিলো এখনি মাটিতে .পরে..যাব 
একটু পর মনে হচ্ছিলো কে যেনো আমার মাথায় পানি ঢালছিলো..তখনি আকাশের দিকে তাকালাম
দেখলাম বৃস্টি হচ্ছে.. অনেকটা সস্তি পেলাম..এখন হয়তো আর কিছু হবে না..
আমি হয়তো বাসায় বেচে ফিরে যেতে পারবো.
তখন মনকে স্থির করলাম আর বললাম..কপাল খারাপ থাকলে আরো অনেক কিছুর মুখোমুখি হতেও পারে..
তাই নিজেই নিজেকে আদেশ করলাম..যা হওয়ার হয়ে যাক.. আর ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবো না..এতে যদি মৃত্যু ও হয় তাকেও বরন করে নিবো..
আর কনো কিছু ভয় না পেয়ে..খুব উচ্চসরে কালিমা শাহাদাৎ পরতে থাকি আর হাটতে থাকি.. কিছুদুর এগোতেই দেখি এক বাড়ি থেকে অনেক সব্দ আসছে মনে হচ্ছে যেনো ঝগড়া হচ্ছে.কিন্তু রাস্তা থেকে তার বাড়ি সবকিছু দেখা যাচ্ছিল তাই দেখে মনে হচ্ছে পুরো বাড়ি সান্ত বুঝতে পারছি না.. সব্দ আসছে কথা থেকে..অথচ আমি নিজের কানে তখনো শুনছিলাম সেই সব্দ গুলা..
আর কিছু ভাবলাম না সামনে দিকে রওনা হলাম.বেশি ভাবলে ক্ষতিটা আমারি হবে..আরো কিছুদুর এগোতেই দেখি অনেকগুলা লোক রাস্তার মাঝখানে বসে আছে দেখে মনে হচ্ছে যেনো কনো শালিসি বিচার করতে আসছে আমি অনেকটা খুশি হয়ে গেলাম..
আমি তাদের সামনে যেতে তারা রাস্তারলোক গুলা একটু সরে গেলো..
আমিও অই দিক দিয়ে হাতটে আর অল্পএক্টু তাহলে বাসা আমার অনেক খুশি লাগছিলো.
ঠিক এমন সময়। মনে হচ্ছে কেও আমার পিছু নিয়েছে..আমার পিছনে কেও হাটছে..পিছন ফিরেই দেখি ২ টা লোক আমার পিছন পিছনে হাটছে..আমি মনে মনে ভাবছিলাম এরা হয়তো অইখানে গিয়েছিলো
কিন্তু হঠাৎ পায়ের দিকে তাকিয়ে আমি আৎকে উঠি..
একি তাদের কারো পা মাটিতে নেই
আমি অনেক ভয় পাচ্ছি কিন্তু তাদেরকে বুঝতে দিচ্ছিলাম না ..
আমি জানি তারা যদি বুঝতে পারে আমি ভয় পাইছি তা হলে আমি শেষ..
তাই সাভাবিকভাবেই হাটার চেষ্টা করি কিন্তু আমার মনকে আমি আর নিয়ন্ত্রন করতে পারি না তাই চিৎকার দিয়ে.. ছুটতে থাকি তার পর কি হয় আমি নিজেও জানি না..
যখন চোখ খুললাম তখন দেখলাম আমি নিজের ঘরেই শুয়ে আছি..
আমি ভাবছিলাম হইতো কোথাও মাথা ঘুরে পরে গেছিলাম..সেখান থেকে এরা আমাকে নিয়ে এসেছে..
আমার গুড্ডুকে জিজ্ঞাস করলাম আমি কিভাবে এখানে আসলাম..
তখন গুড্ডু হাসতে হাসতে বলল তুমি কি পাগল হয়ে গেছো
তুমি তো নিজেই আসছো এসেই শুয়ে পরেছো
আমি তোমাকে খাবার এর জন্য অনেক ডেকেছি কিন্তু তুমি উঠোনি
ভাবলাম তুমি ক্লান্ত তাই আর জোর করিনি
তা এখন ভাত খাবা কি??
আমি বললাম হুম দাও
ওকে তুমি ফ্রেস হয়ে আসো..
আমি ফ্রেস হচ্ছি আর ভাবছি কাল কি সত্যি কনো আত্তার সাথে দেখা হয়েছে নাকি.
সবকিছু আমার মনের ভুল..ঠিক তখনি লক্ষ করলাম কাল রাতে সেই রক্ত এখনো আমার কাধে লেগে আছে..আমি তখন চিৎকার করে বাড়ির বাইরে এসে সবাইকে বলি আমার ঘটে যাওয়া সব ঘটনা..
সবাই অবাক হয়ে শুনতে কিন্তু কেও কনো উত্তর দিতে পারে না.. সবাই বলে তোমার কপাল ভালো..ছিলো তাই তুমি বেচে ফিরছো
আমি খুব হতাস হয় কারন কেও আমাকে কাল রাত্রির বেখ্যা দিতে পারে না..
তাই ভাবলাম নিজেই এর কারন খুজবো..
আবার সেই রাস্তা দিয়ে অনেক রাতে বাসায় ফিরবো..
.তা হলে সব সমাধান হয়ে যাবে,..
কিন্তু কপাল খারাপ
আমার গুড্ডু আমাকে আর রাতে বের হতেই দিলো না..
তাই আমার কাছে রহস্যই থেকে..গেলো
.সেই রাতের ঘটোনা গুলো...
সমাপ্তি....

2 comments:

  1. Very informative blog. Love the story. Please take some time to visit mine Wiki Tourist

    ReplyDelete
  2. Very good post. Really life can be as bad as it gets. Stay with us. Visit travelicious trail for travel, tech and food post

    ReplyDelete

Powered by Blogger.