জিন হাজির


আজকে যে ঘটনা টি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সে ঘটনা টি আমার গ্রাম এর এক হুজুর এর কাছ থেকে শুনা, যাই হক বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি ঘটনায় চলে যাই। ঘটনা টি ২০১৭ সালের রমজান মাস এর। আমি একটি কওমি মাদ্রাসার বাংলার শিক্ষক সাধারণত মাদ্রাসার ছাত্রদের রমজান মাস এর শুরুর দিকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু সংখ্যক ছাত্র ২০/২২ রমজান অব্ধি থাকে হফজ পড়ার জন্য। মাদ্রাসা টি আমার বাড়ি থেকে ৭/৮ কিঃমি এর পথ। স্থানীয় হয়ার মাদ্রাসার দেখা শুনার দাইত্ত আমার উপর পড়ে। মাদ্রাসায় শিক্ষকের মধ্য শুধু আমি আর প্রিন্সিপাল স্যার ছিলেন। একদিন রাতে ছাত্ররা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে আমি ওয়াশ রুম এর উদ্দেশ্য মাদ্রাসা থেকে বেড় হই।ওহে আমাদের মাদ্রাসার ভিতরে একটি দুতলা মসজিদ ছিল।আমি হঠাৎ খিয়াল করলাম মসজিদ এর ছাদে কি যেন উড়ে গেল ছায়ামূর্তি টাইপ এর। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম কিন্তু মনে জিদ চাপল কি ওটা দেখে আসি। এক পা দুপা করে মসজিদ এর ভিতর প্রবেশ কড়ছি আমার মনে হলে কেও আমার পিছন দিয়ে খুব দ্রুত গতি তে ছুটে গেল। আমি পিছনে তাকালাম কিন্তু কাউকে পেলাম না।মনের ভুল ভেবে আবার হাঠথে শুরু করলাম। মসজিদ এর ছাদে উঠে দেখলাম মানুষ টাইপ এর ২ জন বসে আছে। আমার
ভিতর একদম শুকিয়ে গেছে। এদিকে মসজিদ এর নিচেরর শব্দ টা আর বেড়ে যাচ্ছে। ছাদের গেইট বাইরে থেকে লক করা তাই ছাদে যেতে পারতেছি না। শরিরের সমস্ত শক্তি এক করে বলার চেষ্টা কলাম কে কেওখানে কিন্তু ভয়ে আমার গিলা শুকিয়ে কাট হয়েগেছে। নিজের কণ্ঠ নিজেই শুনতে পারছি না। আবার ঢাক দিবার চেষ্টা করলাম এবার মনে হলে কে যে আমার দিকে তেড়ে আসছে আমার ভিতর তে পুরাই শুকিয়ে গেছে মনে হচ্ছে আমার শেষ সময় চলে এসেছে। মনে মনে আল্লার নাম নিলাম। তখনি ওপাশ থেকে আওয়াজ আসলো স্যার আমি আজিম। এবার আমি একটু চমকে গিয়ে প্রশ্ন করলাম তুমি এতো রাতে এখানে কি কর।আজিম বলে উঠলো আসলে স্যার আমি আর রবিন এখানে জিন কে হাজির করার জন্য এসেছি এবার আমি একটু উচ্চস্বর এ বললাম তুমরা কি পাগল হয়ে গেছ জান এর পরিণাম কি হতে পাড়ে। ওরা বলে উঠলো আমড়া জানি স্যার কিন্তু। আমি ও জিন দেখার প্রতি বেশ আগ্রহী তাই বলে উঠলাম চলো একসাথে বসে কাজ করি। তার পড় আমরা তিন জন মিলে ওখানে বসে জিন হাজির করার চেষ্টা করছি আজিম একটা বালতির মঝে পানি আর একটা কাচের বুতল নিয়ে আসলো রবিন বালতী তে পানি ভরতি করে সুরা জিন পড়ে পানি নিয়ে বুতলে মাড়তে লাগল।ওদিকে নিচে মনে হচ্ছে বশ বড় ২ টি প্রাণি
মাটিতে পড়ল।আমার ভয় আর বেড়ে গেল আমিত একজন শিক্ষক ছাত্রদের ক্ষতি হলে শব দুশ আমার উপর পড়বে। এবার দুতলা য় কি জেন পড়ার শব্দ শুন তে পেলাম। এবার আমি আজিম কে বলে উঠলাম থামাও আমরা সাথে নিচে চল নইলে আমি স্যার কে সব বলে দিব আমার রাগান্বিত চেহারা দেখ ওরা সুরা পড়া থামিয়ে আমার সাথে নিচে চলে আসলো। ঘটনা টা এখানে শেষ হলে ভাল হত কিন্তু এর পর থেকে আমার সাথে ঘটতে শুরু হল মুল ঘটনা আমি সাধারণত তাহাজ্জুদ এর নামজ পরে ঘুমাই সি দিন ওও তাহাজ্জুদ এর নামাজ শেষ করে তাসবি পড়ছিলাম হঠাৎ কারুর প্রচণ্ড টানে তসবি ছিরে গেল।আমি পুড়াই অবাক হয়ে গেলাম এরকম ঘটনা প্রতিদিন ই ঘটতে থাকে। আমি কাউকে কিছু বলিনি। ঈদ এর তিন দিন পড় ঘটলো আমার জীবনের সবছে ভয়ংকর ঘটনা আমার স্ত্রী আর মেয়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে গেছে আর আব্বু আম্মু ও চাচা দের বাসায়।আমি বাসায় একা প্রতিদিনকার কার মত খেয়ে শুয়ে পড়ি আমি কিন্তু আমার কেন জানি মনে হল আমি কোন শক্ত কিছুর উপর শুয়ে আছি আর আমার নাকে আসছিল পচা ঘন্ধ আমি বুজতে পাড়লাম আমার অন্তিম সময় চলে এসেছে। শরিরের সমস্ত শক্তি দিয়ে উঠার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার শরিরের প্রতিটি অংশ আমার সাথে বিরোধিতা করছে আমি শরির নাড়াতে পাড়ছি
না মনে হচ্ছে আমার শরির অচেতন হয়ে যাচ্ছে। আমি শেষ বাড়ের মতো আল্লার নাম নিলাম।আর কিছু মনে ছিল না আযান এর সুমধুর সুর শুনে জ্ঞান ফিরে পেলাম আমি নিজেই বুঝতে পাড়ছি না আমি মৃত নাকি জীবিত হঠাৎ মনে হল শরির এর শক্তি ফিরে পেয়েছি আমি করব থেকে উঠে এক দউর এ কবরস্থান এর পাশের মসজিদ এর বারান্দায় পড়ে গেলাম জ্ঞান ফিরলে নিজেকে বাসায় আবিষ্কার করলাম। এই ঘতনা টির ব্যখা আমি এক হুজুর এর কাছ থেকে জানতে পাড়ি । আমরা জিনকে পুরপুরি হাজির করতে না পারায় ওরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এসব করেছে।

No comments

Powered by Blogger.