সেই মেয়েটি



আমি আর রবিন আম্মুর সাথে কেবিন এ বসে গল্প করছি। কাল রাতে হঠাৎ করে আম্মু অজ্ঞান হয়ে যান আমি কোন কিছু না ভেবেই আম্মু কে মেডিকাল নিয়ে আসি।এখন রাত প্রায় ১২:৩০ হবে। রবিন আমাকে ইশারা করে বলল বাইরে যাবে।আমার ও কেবিন এ ভাল লাগছে না তাই ও বাইরে চলে আসলাম রবিন এর সাথে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে আমরা একটি নিরিবিলি পরিবেশ এ প্রবেশ করলাম। রবিন দুস্ত একটা সিগারেট দেত। আমি পকেট থেকে সিগারেট ভেড় করে ওকে দিলাম পরিবেশ টা বেশ শান্ত আমি আপন মনে গান গাইছি 
হঠাৎ রবিন বলে উঠলো মাহির দেখত ওই দিকে একটা মেয়ে কে দেখলাম মনে হয় আমি বললাম দূর এত রাতে মেয়ে কোথা থেকে আসবে তুই হয়ত ভুল দেখেছিস। আরে না দুস্ত আমি সত্যি দেখেছি। এবার আমি একটু বিরক্তি নিয়ে লাশ ঘর এর দিকে তাকালাম কই কোথায় মেয়ে। রবিন বলল মনে হয় মনের ভুল। আমি কিছু না বলে আপন মনে গুণ গুণ করতে লাগলাম। হঠাৎ কারোর কান্না শুনে আচমকা চমকে উঠলাম
রবিন বলল চলত দেখে আসি। আমি হ্যা বলে ওর সাথে গেলাম। লাশ ঘর এর দিক থেকে কান্নার শব্দ টা আসতে লাগলো আমরা দ্রুত চলতে লাগলাম। হ্যা সত্যিত একটা মেয়ে মনে হচ্ছে আমি আর রবিন ওর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। রবিন :কি হয়েছে আপু আপনি কাঁদছেন
কেনো। আমরা একে ওপরের দিকে তাকিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলাম এইযে কে আপনি এখানে এতো রাত এ বসে কাঁদছেন কেনো এবার মেয়েটি আমাদের দিকে তাকালো।মেয়েটিকে দেখে আমরা রীতিমতো চমকে উঠলাম এমন ও মানুষ হতে পাড়ে। মুখ দেখে আমরা রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম দেখে মনে হয় অনেক দিন থেকে কিছু খায়নি চোখ ২ টু নেই বললেই চলে। আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল আমি রুহি আজ ২ দিন হল আমার বাবা মারা গেছেন কিন্ত। এখনো ওনার লাশ আমি পাইনি। বলেই মুখ মলিন করে নিলো।আমরা ওর সাথে কথা বলছিলাম হঠাৎই কেও আমাদের মুখের দিকে লাইট মারলো পুরুষ কন্ঠে কে যেন বলে উঠলো আপনারা কে এখানে কি কছেন জানেননা এখানে জনসাধারণ এর প্রবেশ নিষেধ। একটু ধমক দিয়ে কথাটা বলল।আমি বললাম কিছু না চাচা আমরা মেয়েটার সাথে কথা বলছিলাম।অনি বলে উঠলেন মেয়ে এখানে মেয়ে পেলে কোথায় এক্টু চমকে গিয়ে কথা টা বললেন ওনি। আমরা বললাম এইতো আমাদের সাথেই বসে গল্প করছিল বলেই পাশের দিকে তাকালাম একি মেয়ে টা গেল কোথায় বলে উঠলো রবিন গেইট কিপার একটু বিরক্তি নিয়ে বলল আপনারা হয়তো ভুল দেখেছেন যান কেবিন এ গিয়ে শুয়ে পরুন। আমরা আর কিছু না ভেবে চলে আসলাম হঠাৎ চোখ পড়ল রাস্তার পাশে মেয়েটি আমাদের দিকে তাকিয়ে একটা
বিশ্রী হাসি দিলো আমি আর ওদিকে তাকানোর সাহস পেলাম না সরাসরি কেবিন এ চলে গেলাম কিন্ত কিছু তেই কিছু মিল পেলাম না। সুধু মেয়েটির কথা মনে পরছে। সকালে ফজর এর নামাজ পড়ে আশার সময় ওই চাচা কে পেলাম। আমাকে দেখেই ডাক দিলেন এই ছেলে এদিকে এসো। আমি বললাম আমাকে বলছেন ওনি বললেন কাল রাতে কি ওই মেয়েকে আর দেখেছ আমি একটু গার্বে গেলাম বললাম আপনি কি কিছু জানেন ওই মেয়েটার সম্পর্কে
অনি বললেন আজ থেকে ৩ বছর আগের ঘটনা আমি লাশ ঘড় এ তখন জনসাধারণ এর অনুমিত ছিল মেয়েটির বাবা মারা গিয়েছিল মর্গে ডক্টররা পোস্মেডাম এর নামে লাশ এর চোখ কিডনি এসব বিক্রি করে দিয়েছিল মেয়েটি এসব কমন করে জেনে গিয়েছিল তাই ডাক্তার রা ওকে মেরে ফেলেছিল। এর পর থেকে প্রায় ওকে এখানে দেখা যায়।

No comments

Powered by Blogger.